বিয়ের দুদিন না যেতেই ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল প্রবাসীর
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ডাকাতদের গুলিতে মো. নুরুন নবী (৩২) নামে এক সদ্য বিবাহিত মালয়েশিয়া প্রবাসী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের মা ও ছোট ভাই আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি সাপেরগারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুন নবী ওই এলাকার মো. হাসান শরীফের ছেলে। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তার বিয়ে হয়। বিয়ের মেহেদীর রঙ মোছার আগেই নুরুন নবীর মৃত্যু নববধূ ও পরিবারকে স্তব্ধ করেছে।
নিহতের বড় ভাই ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আমার শাশুরবাড়ি থেকে পাঁচজন অতিথি বেড়াতে আসেন। মেহমানদের সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিদায় জানিয়ে আমি ঘরে ফিরছিলাম। এ সময় মুখোশ পরিহিত বেশ কয়েকজন যুবক আমাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে হাত-পা বেঁধে উপর্যুপরি মারধর করে মাটিতে ফেলে রাখে। তারা ৮-১০ জনের একটি দল আমাদের বসতঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে প্রথম দফায় ব্যর্থ হয়। পরে তারা বাড়ির পেছনে রান্না ঘরের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে আমার ভাই নুরুন নবী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ডাকাতদের গুলি এবং ধারাল অস্ত্রের কোপে মা হাজেরা খাতুন (৮০) ও ছোট ভাই মোজাম্মেল (২২) গুরুতর আহত হন। বেশ কিছুক্ষণ বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ডাকাতির খবর পেকুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিতে নিহত নুরুন নবীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম বলেন, ডাকাতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নিহত প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতের ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে চাচা নুরুন নবী মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) তার বিয়ে হয়।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস