ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বললেন এলজিআরডি মন্ত্রী

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির পর বিপদাপন্ন রোহিঙ্গাদের প্রথম আশ্রয় দিয়েছেন উখিয়া-টেকনাফের জনগণ। কিন্তু রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিয়ে স্থানীয়রা আজ মানসিক ও পারিবারিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি এনজিওদের এগিয়ে আসতে হবে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের উখিয়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যেতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা মিয়ানমারের নাগরিক। সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়ায় মানবিক কারণে আমরা সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। এখন রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের পরিবেশ, পানি, জলাশয় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এর উন্নয়নে আরও বেশি কাজ করতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন এলাকায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক নির্মিত মিনিপাইপড পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন। উখিয়ার ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২ এলাকায় আইএমও পরিচালনাধীন সুপেয় পানির পাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন এলাকায় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ইর্মাজেন্সি এসিসট্যান্স প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কর্তৃক নির্মিত ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারসহ রাস্তা ও স্থাপনা উদ্বোধন করেন।

ক্যাম্প পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফরের প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/পিআর