নোয়াখালীতে বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর
হরতাল চলাকালীন সময়ে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১১ বছরের শিশু মো. সাগরসহ ৬৫ জনকে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালীর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর (বেগমগঞ্জ) আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন। তবে ১১ বছরের শিশুটির বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করা করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণকৃত আসামিরা বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের দায়ের করা মহিন উদ্দিন বাবুর্চি ও ছেরাজল হক রুবেল হত্যা, পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা জিআর ৩৫ নম্বর মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি। দুপুরে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন। নির্দেশ মোতাবেক আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বিএনপির ৬৫ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করার এবং তাদের জেল হাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামিরা জিআর ৩৫ নম্বর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে মামলায় ১১ বছরের শিশুকে আসামি করার বিষয়ে তিনি জাগো নিউজকে জানান, শিশু ঠিক না । এ মামলায় দুই জন রয়েছে যাদের বয়স ১৬ এর নীচে। এ বিষয়ে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুসারে বয়সের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র (টুসিপত্র) দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তখন তাদের বিচার আলাদা হবে এবং সংশোধনী কেন্দ্রে রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নোয়াখালীর বৃহত্তর বাণিজ্যকেন্দ্র চৌমুহনীতে হরতাল চলাকালীন বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশের সংঘর্ষে মহিন উদ্দিন বাচুর্চি (২৮) ও ছেরাজল হক রুবেল (৩২) নামের দুই জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা, পুলিশের ওপর আক্রমণ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাসকে প্রধান আসামি করে বিএনপির ২১৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মিজানুর রহমান/এমএএস/আরআইপি