নীলফামারীতে ভুল প্রশ্নপত্রের কবলে ৯৮ পরীক্ষার্থী
ভুল প্রশ্নপত্রের কবলে পড়েছে নীলফামারীর রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রের ৯৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত সময় দিয়ে তাদের পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জেলা শহরের রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৬২০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষার্থী ছিলেন একজন। ওই একজনের জন্য বাংলা প্রথম পত্রের ১২০টি প্রশ্নপত্র পান কেন্দ্র সচিব।
কেন্দ্রের ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যে খাতায় ২০১৮ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম সেটিতেই আমাদের বাড়তি পেজ লাগিয়ে দিয়ে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পুরোনো সিলেবাসের উত্তরগুলো কেন্দ্র সচিব লাল কালি দিয়ে কেটে দেন। এতে আমরা ফলাফল নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছি।
এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের সচিব ও প্রধান শিক্ষক মহাফিজুর রহমান খান বলেন, ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী মোট ৬১৯ জন এবং ২০১৮ সালের পুরোনো সিলেবাস অনুযায়ী একজনসহ মোট ৬২০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এই কেন্দ্রে। ২০২০ সালের ৬১৯ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে এক হাজার ২০টি প্রশ্নপত্র এবং ২০১৮ সালের পুরোনো সিলেবাসের একজন পরীক্ষার্থীর জন্য ১২০টি প্রশ্নপত্র বরাদ্দ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, কেন্দ্রের ৮ ও ৫ নম্বর কক্ষে ২০২০ সালের ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র ভুলবশত সরবরাহ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর ওই কক্ষের পরীক্ষার্থী নীলফামারী কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বিষয়টি ধরতে পারেন। তিনি ওই কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষককে অবগত করেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফেরত নিয়ে নেই।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়।
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কার ভুলে এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
উল্লেখ্য, নীলফামারী জেলায় ১৯ হাজার ৭৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ১৯ হাজার ৭১০ জন, অনুপস্থিত ছিল ৫৪ জন।
জাহেদুল ইসলাম/বিএ/জেআইএম