স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী-শাশুড়ি-ননদ পলাতক

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে নিজ ঘরের ধরনার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাবিনা বেগম (৩০) নামের এক নারী লাশ উদ্ধার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, রহস্যজনক এ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ঢুলটি বেদুনদিয়া নামক স্থানে একটি ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার আগে সকাল ৬টার দিকে বাড়ির লোকজন টের পান। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী, শাশুড়ি, ননদ পলাতক রয়েছেন। সিয়াম হোসেন নামে ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে নিহতের।

সাবিনা বেগম ঈশ্বরদী শহরের মশুড়িয়াপাড়া মহল্লার জার্জিস হোসেনের মেয়ে ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজ ঘরের ধরনার সঙ্গে ঝুলন্তভাবে লাশ দেখতে পেয়ে ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ সকাল ১০টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা জার্জিস হোসেন (৬০) জানান, ১০ বছর আগে মুলাডুলির জামিরুল ইসলাম কালুর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই প্রায় সময় মেয়ে সাবিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মেয়ের সুখের জন্য মুলাডুলি ইউনিয়নের বেদুনদিয়া জমি কিনে বাড়ি করে দেন। একটি সিএনজিচালিত নসিমন কিনে দিয়েছিলেন, সেটাও বিক্রি করে দিয়েছে জামিরুল। তারপরও অত্যাচার সহ্য করে মেয়ে সাবিনা সংসার করছিলেন। কিন্তুু কাউকে কিছু না বলে চলে গেলো।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী জানান, নিজ ঘরের ধরনার সঙ্গে ওড়না দিয়ে পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ সাবিনাকে পাওয়া গেছে। সাবিনার পরনে ছিল লাল রঙের সোয়েটার ও লাল পেটিকোট। শাড়িটি মাটিতে পড়ে ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে পাবনা সরকারি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।

আলাউদ্দিন আহমেদ/জেডএ/পিআর