ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মদপান করে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মাতলামি, দুজনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৬:০৬ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২০

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় মদপানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত রিপন হাওলাদার (৩৮) উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের নন্দনসার গ্রামের মৃত ইউনুস হাওলাদারের ছেলে ও মঞ্জু মল্লিক (৫৫) থিরপাড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ মল্লিকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের গোয়ালবাথান গ্রামের মৃত হামিদ আলী হাওলাদারের ছেলে কুদ্দুস হাওলাদারের নন্দনসার অটোরিকশার গ্যারেজে রিপন হাওলাদার, মঞ্জু মল্লিক, কুদ্দুস হাওলাদার ও জামাল হাওলাদারসহ কয়েকজন মদপান করেন।

সোমবার রাত ৩টার দিকে রিপন ও মঞ্জুর পেটে ও বুকে ব্যথা ওঠে। পরিবারের লোকজন তাদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠান। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিপন হাওলাদারের মৃত্যু হয়। মঞ্জু মল্লিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে মাঝিরঘাট এলাকায় মারা যান।

নন্দনসার গ্রামের খলিল ব্যাপারীর স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, রোববার আমার মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। রিপন হাওলাদার মদপান করে অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের উত্ত্যক্ত করছিল। মাতলামি করতে দেখে তাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে নিয়ে যান কুদ্দুস হাওলাদার। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়েছে।

রিপন হাওলাদারের শ্যালক মো. লিটন বলেন, সোমবার রাতে দুলাভাইয়ের পেটে জ্বালা-যন্ত্রণা ও বুক ব্যথা শুরু হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে মৃত্যু হয়। রিপন ভাই চট্টগ্রামে সিএনজির ব্যবসা করতেন। কয়েক দিন আগে বাড়ি এসেছেন।

অটোরিকশা গ্যারেজের মালিক কুদ্দুস হাওলাদারের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তার মোবাইল নম্বরে কল দিলেও রিসিভ করেননি। প্রতিবেশীরা বলছেন কুদ্দুস পলাতক।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক মনীর আহমদ খান বলেন, মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মদের আলামত পেয়েছি আমরা। একজন হাসপাতালে আরেকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মনে হচ্ছে না মদপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে। শুনেছি একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অপরজন কীভাবে মারা গেছে জানি না।

মো. ছগির হোসেন/এএম/এমকেএইচ