ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

টেকনাফ স্থলবন্দরে ৫৬ লাখ টাকা রাজস্ব ঘাটতি

প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৫

টেকনাফ স্থলবন্দরে সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ে ৫৬ লাখ টাকার ঘাটতি রয়েছে। ঈদুল আজাহা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ মাসে চার কোটি ৪৭ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে শুল্ক বিভাগ।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পাঁচ কোটি তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা মাসিক রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে ৩০ কোটি দুই লাখ ১৫ হাজার ৬৫ টাকার পণ্য আমদানির বিপরীতে ২০৯টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে চার কোটি ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮৭ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৬ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ টাকার রাজস্ব কম।

অপরদিকে, ৫১টি বিল অব এক্সর্পোটের মাধ্যমে মিয়ানমারে দুই কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৫৯০ টাকার মালামাল রফতানি করা হয়েছে। প্রতি মাসে সীমান্ত বাণিজ্যে পণ্য আমদানির তুলনায় রফতানি হয় কম। এরপরও আমদানি ও রফতানি পণ্যের বৈষম্য দূরীকরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
 
শুল্ক কর্মকর্তা আরো জানান, গত মাসে ঈদুল আজাহা ও বৈরী আবহাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতার কারণে পণ্য আমদানি কম হওয়ায় মাসিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে মিয়ানমারে দেশিয় পণ্য রফতানিও স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি ও বাণিজ্য গতিশীল করতে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায় নানা সমস্যা লেগে আছে। মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানিতে সমস্যায় পড়তে হয়। অপরদিকে, দেশিয় পণ্য রফতানিতে হতে হচ্ছে হয়রানির শিকার। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে সীমান্ত বাণিজ্যে ব্যবসায়ীরা দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

পণ্য রফতানি করে বিদেশ থেকে ডলার আনা হয়। এটি করতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। ফলে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর থেকে সরে পড়েছেন। সীমান্ত বাণিজ্যের সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছেন তারা।

সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/আরআইপি