ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মিয়ানমারে যাচ্ছেন না শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ০১:১১ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৫

মিয়ানমার অভিবাসন পুলিশের হাতে শ্রমিক মারধরের ঘটনায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার নৌরুটের ব্যবসায়ীরা মিয়ামারে যেতে পারেননি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীদের বোট যাওয়া বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা।  

ফলে বৃহস্পতিবার কোনো বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সীমান্ত বাণিজ্যের আত্ততায় মিয়ানমারে যেতে পারেননি। তবে মিয়ানমার থেকে ব্যবসায়ীদের একটি বোট বাংলাদেশে আসছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের অভিবাসন কেন্দ্র (ইমিগ্রেশন) বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম। সরকার প্রতিজনের কাছ থেকে ৮শ টাকা রাজস্ব পায়। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। অনুমতি ফেলে মিয়ামার কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর বোট মালিক সমবায় সমিতির আহ্বায়ক আবদুল করিম ও সাবেক সভপতি মো. ফেরুজ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার টেকনাফ স্থলবন্দর অভিবাসন কেন্দ্রের অনুমতিসহ বৈধ কাগজ-পত্র নিয়ে বোট চালক মো. ইসমাইল ১০ জন ব্যবসায়ীকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের মংডু শহরের পৌঁছান। পরে সেখানে পৌঁছার পর কোনো কথা ছাড়া মিয়ানমার অভিবাসন পুলিশের সদস্যরা ট্রলারে উঠে চালক ও শ্রমিকদের মারধর করে।

এসময় বোটের চালক মো, ইসমাইল আহত হন। পরে যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে মারধরের ঘটনা বর্ণনা করেন চালক। তার চিকিৎসার শেষে ট্রলার শ্রমিকরা বিষয়টি লিখিতভাবে টেকনাফ স্থলবন্দর অভিবাসন কেন্দ্রে কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।

তিনি আরো বলেন, শুধু ইসমাইল নয় মিয়ানমার পুলিশের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বোটের শ্রমিক মো. আমিন, মো. ছলিম, মো. শহীদ, মো. আলম, কামাল হোসেন ও শামসুল আলম।

মিয়ানমার পুলিশের হাতে মারধরের শিকার মো. ইসমাইল বলেন, যাত্রী নিয়ে মিয়ামারে পৌঁছার পর কোনো কথা ছাড়া আমাদের মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে বোট নিয়ে কোনো শ্রমিক মিয়ানমারে যেতে চাননা। তাই এই বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য মিয়ানমারের ব্যবসায়ী পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি টেকনাফের বরইতলী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের ছেলে।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে মিনয়ারের কোনো ট্রলার না যাওয়ার ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফের অনেক ব্যবসায়ীদের ফেরত যেতে হয়েছে।

বিজিবির টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আবদুল হান্নান খান জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার অভিবাসন পুলিশের সঙ্গে কথা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আশ্বস্থ করেন।

সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর