আসামির স্বজনদের হাতে আদালত প্রাঙ্গণে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন বুধবার (০৮ জানুয়ারি)। আজ থেকে এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন আজ।

প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ ও চার্জ গঠন উপলক্ষে কারাগারে থাকা মামলার ২১ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে উপস্থিত হন জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও প্রিন্স মোল্লা। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুই সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন আসামির স্বজনরা। বাধা দেন পেশাগত দায়িত্ব পালনে। গালমন্দ করেন অশ্লীল ভাষায়।

লাঞ্ছিত দুই সাংবাদিক হলেন সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রিপন মালি এবং এনটিভির ক্যামেরা সহকারী আরিফুল ইসলাম মুরাদ। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

লাঞ্ছনার শিকার দুই সাংবাদিক জানান, বরগুনা জেলা কারাগার থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রিজনভ্যানে ২১ আসামিকে আদালতে হাজিরের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যানটি আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন শুরু করি। এ সময় রিফাত হত্যা মামলার আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদারের স্বজনসহ আরও দুজন আসামির স্বজনরা আমাদের ওপর চড়াও হন। তারা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার পাশাপাশি বারবার ধাক্কা দেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন।

এদিকে আলোচিত এ মামলার আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহের সময় দুই সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বরগুনার সাংবাদিক নেতারা।

বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, আলোচিত একটি মামলায় আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহে এসে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। পাশাপাশি আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, আদালত প্রাঙ্গণের এ ঘটনা আমি আপনার কাছেই শুনলাম। অবশ্যই আমরা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখব।

মিরাজ/এএম/জেআইএম