সরকারি গাছ কর্তন : ৩ মাসেও নেই কোনো ব্যবস্থা
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আয়মা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জালাল আকন্দ ও মহিলা মেম্বার বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২৬টি সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগের ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে জানা গেছে, মেম্বার জালাল আকন্দ আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত মহিরের মোড় থেকে আরজি অনন্তপুর পুকুর পাড় পর্যন্ত ১৪টি জীবিত বৃহৎ আকারের ইউক্যালিপটাস গাছ কর্তন করেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার বিউটি বেগম রামনগর নওশাদ মন্ডলের বাড়ির উত্তরে রাস্তার পার্শ্বের পুকুর পাড় পর্যন্ত বিশাল আকৃতির ২টি রেইট্রি, ২টি মেহগুনি ও ৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ কর্তন করেন। তারা গাছগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে স্থানীয় মামুন ও আব্দুল বারিকের করাত কলে রাখেন।
খবর পেয়ে পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২৯ জুন ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামি ধরতে না পেরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫(৬) ধারায় পাঁচবিবি থানায় এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে ওই দুই মেম্বারের গাছ কাটার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বন আইন ১৯২৭ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেন।
মামলার আদেশের নির্দেশনা মোতাবেক আদেশের অনুলিপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো হয়। অদৃশ্য কারণে আজও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
অভিযুক্ত আরজি অনন্তপুর গ্রামের জালাল আকন্দ বলেন, ঝড়ে গাছগুলো পড়ে গিয়েছিল। চলাফেরায় অসুবিধা হওয়ার কারণে গাছগুলো কেটে মসজিদের কাজে লাগানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফিরোজ হাসানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত মামলা হয়নি।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর উদ্দিন আল ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, গাছগুলো জেলা পরিষদের হওয়ায় এ বিষয়ে জেলা পরিষদকে কপি দেয়া হয়েছে ।
জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক এসএম সোলায়মান আলী জাগো নিউজকে জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে।
এসএস/এমএস