ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভারতে তথ্য পাচারকারী সেই পুলিশ সদস্য ফের রিমান্ডে

জেলা প্রতিনিধি | যশোর | প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল দেব প্রসাদ সাহাকে আরও পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. সাইফুদ্দিন হুসাইন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, দেব প্রসাদকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে পাঁচদিন মঞ্জুর করা হয়। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পুনরায় সাতদিন রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

জানা যায়, আসামি দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। সেই সুবাদে ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ছিলেন। তার বিপি নম্বর ৭৫৯৮০৫১১৯৮ ও কনস্টেবল নম্বর ৭০৩। বেনাপোলে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভারতের অনেকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন দেব প্রসাদ। তিনি যখন তখন নোম্যানসল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া-আসা করতেন। ইমিগ্রেশনে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর অফিস সহকারী আবু হানজালা রানা ও সৈনিক শাহনেওয়াজ শাহিনের সঙ্গে তার পরিচয় ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরা দুজন বেনাপোলে মাঝে মধ্যে এসে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুইজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যানসল্যান্ড পার হয়ে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর আবু হানজালা রানার কাছ থেকে এনে আবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন দেব প্রসাদ সাহা।

সূত্র আরও জানায়, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয় এবং ভারতের কাছে তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। সেনা সদস্য শাহনেওয়াজ ও অফিস সহকারী আবু হানজালার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ভারতে পাচারের বিষয়টিও দেব প্রসাদ স্বীকার করেছে। ফলে তারা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ কারণে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য দেব প্রসাদ সাহাকে আটকের পর মামলা দিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আরও সাতদিন রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মিলন রহমান/এমএএস/জেআইএম