শিশু রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
বহুল আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে পৈশাচিক এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হলো।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধার আদালত চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় রাজনের বাবা শেখ আজিজুল ইসলাম (আলম) ও মামলার বাদি এসআই আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর চাঞ্চল্যকর এ মামলার সৌদি-আরবে আটক হওয়া কামরুলসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় চার্জ গঠন করেন। বিচার কাজ যাতে দ্রুত শেষ হয় সে কারণে আদালত ১, ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের ৯টি তারিখ এক সঙ্গে নির্ধারণ করেন। এই তারিখগুলোতে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা আসামি এসএমপির জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মুহিত আলম ওরফে মুহিত (৩২), তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪), চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), জালালাবাদ থানার টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া (২০), দুলাল আহমদ (৩০), আয়াজ আলী (৪৫), তাজউদ্দিন বাদল (২৮), ফিরোজ মিয়া (৫০), আছমত আলী ওরফে আছমত উল্যাহ (৪২) ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেলকে (২৫) আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলার প্রধান আসামি সৌদি-আরবে আটক কামরুল ইসলাম এবং দেশে শামীম আলম ও পাভেল ইসলাম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষ্যে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠায়।
গত ২৪ আগষ্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রফিতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ ৩ পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
ছামির মাহমুদ/এসএস/আরআইপি