ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পল্লী চিকিৎসকের ওপর হামলা : ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ভোলা সদরের চর সামাইয়া ইউনিয়নের নূরে আলম নামের এক পল্লী চিকিৎসক ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার পুরো ইউনিয়ন-জুড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকার মানুষ। এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে প্রতিবাদী জনগণ।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনজন সন্ত্রাসী তথা মোশারফ হোসেন কুট্টির তিন পুত্র আনোয়ার, ইউসুফ ও মামুনের নারকীয় হামলার প্রতিবাদে বের হওয়া মিছিলটি দেড় ঘণ্টাব্যাপি এলাকার বিভিন্ন জায়গা প্রদক্ষিণ করে। পরে স্থানীয় শান্তির হাট বাজারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

এতে তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার নূরে আলমের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মামলা নং এমপি/১৯৯/১৫৫।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এর আগে মোশারফ হোসেন কুট্টির পুত্র আনোয়ার ও ইউসুফ তাদের চাচাতো ভাই মাইনুদ্দিনকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করলে দীর্ঘ চিকিৎসা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। তার হত্যার জন্য ভুক্তভোগীরা কোনো মামলা না করলেও এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে তারাও।

বড় চর সামাইয়ার চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এবং চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা পালোয়ান এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেছেন। তারাও এই ধরনের ঘৃণ্য হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এদিকে সন্ত্রাসী হামলার পরপরই স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে তিন অভিযুক্ত আনোয়ার, ইউসুফ, মামুন ও তার পরিবার। এলাকা ছেড়ে তারা ঢাকার সাভার ও গাজীপুরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে স্থানীয় বাদশাহ মার্কেট সংলগ্ন এলাকায় মোটর সাইকেলযোগে এসে নূরে আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আনোয়ার (৩১), ইউসুফ (২৮) ও মামুন (২০) নামে স্থানীয় তিন সন্ত্রাসী। তারা নূরে আলমকে বগি দা ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

স্থানীয়রা জানান, মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই নূরে আলমের গায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৪টি কোপ দিয়ে মোটরসাইকেলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে হামলাকারীরা।

এআরএ/বিএ