৭ খুন : রিভিশন মামলার শুনানি ২০ অক্টোবর
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের একটি মামলার চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদীর দেয়া না রাজি খারিজের রিভিশন মামলার শুনানি আগামী ২০ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে নির্ধারিত শুনানির দিন বাদীপক্ষ সময় প্রার্থনা করলে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে ২১ জুলাই একই আদালতে না রাজি খারিজের রিভিশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটি।
আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার ও বরখাস্তকৃত কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের চাকরিচ্যুত তিনজন আলোচিত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী কাউন্সিলর সেলিনা ইসলাম বিউটির মামলা থেকে এজাহারভুক্ত ৫ আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি হাজী ইয়াছিন মিয়া, ঠিকাদার হাসমত আলী হাসু, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজু, বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন ও শ্রমিক দল নেতা আনোয়ার হোসেন আশিককে অব্যাহতি দেয়ায় গত ১১ মে আদালতে না রাজি প্রদান করেন। পরে ৮ জুলাই শুনানিতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের ‘না রাজী’ আবেদন খারিজ করে দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পিপি কে এম ফজলুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষে হাজিরা দিয়েছি। বাদীপক্ষ আদালতে সময় প্রার্থনা করেছেন। পরে আদালত আগামী ২০ অক্টোবর রিভিশন মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিআরবে গিয়েছেন। এজন্য তার পক্ষে আমি আদালতে সময় প্রার্থনা করেছি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রী বিউটি একটি এবং নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। বিউটি নারাজি প্রদান করলেও ডা. বিজয় কোনো নারাজি প্রদান করেননি।
মো. শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/পিআর