আমি কোনো দিন নেতা হতে পারবো না : শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, যারা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী তারা ভালোবাসা চান, সম্মান চান। আরেকটা জিনিস চান সিএস-আরএস পর্চা দেখে যেন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সম্মান দেয়া হয়। আমি কর্মী ছিলাম, কর্মী আছি, আমার যে চরিত্র আমি কোনো দিন নেতা হতে পারবো না। আমি নেতা হতে চাইও না।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ডিগ্রিরচর ঈদগাহ মাঠে সদর থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল।
শামীম ওসমান আরও বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করে আমি কেন কনফারেন্সে যাই না। আমি সংসদ সদস্য হতে পারি, কিন্তু আমি প্রথমেই বিশ্বাস করি দলের দ্বারা এমপি-মন্ত্রী পরিচালিত হবে। এমপি-মন্ত্রীর দ্বারা দল পরিচালিত হতে পারে না। কারণ এই আওয়ামী লীগকে যারা ক্ষমতায় রেখেছেন তারা হচ্ছেন আপনাদের মতো সাধারণ নেতাকর্মী। শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় শক্তি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, যার ওপর ভরসা করে উনি বাংলাদেশের জন্য কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি একটা জিনিসই চাই। একটা দোয়াই সবাই করবেন যেন জাতির জনকের, শেখ হাসিনার আদর্শের কর্মী হিসেবে ঈমানের সঙ্গে যেতে পারি। নেতা হওয়ার আর দরকার নেই। কারণ যখনই মানুষ নেতা হওয়া শুরু করে তখনই তার সামনের মানুষের সঙ্গে গ্যাপ সৃষ্টি হয়ে যায়। রাজনীতি করতে এসেছি, এমপি-মন্ত্রীগিরি করার জন্য না। ধান্ধা করার জন্য আসি নাই। রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের সেবা করার জন্য। আল্লাহকে খুশি করার জন্য।
শামীম ওসমান বলেন, আমরা এলাকার স্বার্থে সবাই মিলে কাজ করবো। কে কোন দল করি বড় কথা না। জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন আলোর নিচে অন্ধকার। আমরা আশা করি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই আলোর নিচে অন্ধকার থাকবে না। আশা করি বাংলাদেশের মধ্যে একটি সুন্দর শহরে পরিণত হবে এই আলীরটেক।
নারায়ণগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবুর রহমান শিকদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সহসভাপতি খবির উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সদর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, মীর সোহেল, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. জুয়েল হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমএস