সিলেটে ১৮শ বর্গফুটের নৌকা
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে ১৮শ বর্গফুটের বিশাল মঞ্চ। সামিয়ানা দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো মাঠ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠজুড়ে লাগানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ (৫ ডিসেম্বর) একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ কারণে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সম্মেলনস্থল ঘুরে দেখা গেছে, আলিয়া মাদরাসা মাঠের পশ্চিম দিকে তৈরি করা হয়েছে ১৮শ বর্গফুটের বিশাল মঞ্চ। যার দৈর্ঘ্য ৬০ ফুট ও প্রস্থ ৩০ ফুট। মঞ্চটি তৈরি হয়েছে নৌকার আদলে। আজ এই মঞ্চেই বসবেন ২শ নেতা।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো সিলেট। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে করা হয়েছে আলোক সজ্জা। অনেক নেতার নামে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে তোরণ।
এদিকে, বুধবার রাত ৯টায় সিলেট আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থল পরিদর্শন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। আমার একটা বিষয় এখানে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে সিলেটের কোনো নেতা কারো বিরুদ্ধে কটু কথা বলেন না। সবাই মিলেমিশে চলেন। সম্মেলনে কে সভাপতি-সম্পাদক হবেন জানি না। কাউন্সিলররা যাকেই নির্বাচিত করবেন তাদের নেতৃত্ব আমরা সবাই মেনে নেব।
আজ বেলা ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি। বিশেষ অতিথি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের এমপি ইমরান আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া আরও ১০-১২ জন কেন্দ্রীয় নেতা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। সম্মেলন পরিচালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
মঞ্চের সামনে কাউন্সিলরদের, আর একপাশে নারীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো মাঠজুড়েই বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ড থেকে আগত নেতাকর্মীদের বসার জায়গা রয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের জন্যও আলাদা বসার জায়গা রাখা হয়েছে।
মঞ্চের দক্ষিণ দিকে পতাকা উত্তোলন ও উদ্বোধনের জন্য আলাদা একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সম্মেলন স্থলে ঢোকার গেটে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
তাদের পাশে ছবি লাগানো হয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনেরএমপি ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও সিলেট-৪ আসনের এমপি ইমরান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর সভাপতি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের ছবি। সেই সঙ্গে পুরো মাঠে শোভা পাচ্ছে নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন।
জানা গেছে, মাঠের সাজসজ্জায় চলন্তিকা ও আল-মদিনা ডেকোরেটরের ২০-২৫ জন শ্রমিক গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ করেছেন। আল-মদিনা ডেকোরেটরের মালিক মো. আব্দুর জব্বার জানান, ১৮শত বর্গফুটের মঞ্চ করা হয়েছে এবং ১০ হাজার লোকের জন্য চেয়ার দেয়া হয়েছে। পুরো মাঠে আলোর ব্যবস্থা আছে। মাঠে ৫০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা আছে।
এদিকে, সিলেট জেলা ও মহানগন আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে মাঠ পরিষ্কারের কাজ করেছেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
ছামির মাহমুদ/এমএমজেড/জেআইএম