ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্বপ্নের দেশে থাকা হলো না ভৈরবের ১৯ যুবকের

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৯

স্বপ্নের দেশ ইতালি যাওয়া হলো না ভৈরবের ১৯ যুবকের। সংসারের সুখের আশায় তারা সোনালি স্বপ্ন নিয়ে লিবিয়া হয়ে সমদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লিবিয়ার কোস্টগার্ড তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ করে আটকের পর দেশে পাঠিয়ে দেয়।

গত বৃহস্পতিবার ১৫২ জন বাংলাদেশি বিদেশ থেকে ফেরত আসে। এদের মধ্য ১৯ জন ভৈরবের। এরা বৃহস্পতিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর গতকাল শুক্রবার ভৈরবে যার যার বাড়ি চলে আসেন। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায়, লিবিয়া-বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্হার (আইওএম) সক্রিয় সহযোগিতায় একটি চাটার্ড বিমানে তাদের দেশে পাঠানো হয়।

শনিবার ভৈরবে ফেরত আসা কয়েকজন যুবক বিদেশে যাওয়া এবং ফেরত আসার কষ্টের কাহিনি এ প্রতিবেদককে জানান। জানান তাদের নির্মমতার কাহিনিও।

দেশে ফেরত আসা যুবকরা হলেন- ভৈরবের শিবপুর ইউনিয়নের সম্ভুপুর গ্রামের রনি মিয়া ও মঈন উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের অন্তর, ইমরান, আমিনুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, মাহাম্মদ আলী, জোনায়েত, জগনাথপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান, মারুফ মিয়া, শান্ত মিয়া, মেহেদী হাসান, ছনছাড়া গ্রামের সুজন মিয়া, রঘনাথপুর গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া, রাজাকাটা গ্রামের রিমন মিয়া, জীবন মিয়া, ভাটি কৃষ্ননগর গ্রামের সাগর মিয়া, পৌর এলাকার ভৈরবপুর গ্রামের সাব্বির মিয়া ও ওলি উল্লাহ।

ফেরত আসা যুবকরা জানান, দেশে কোনো কাজ না পেয়ে স্বপ্নের দেশ ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা দালালদের মাধ্যমে লিবিয়াই যায়। দালালরা বলেছিল, লিবিয়া থেকে তাদের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পাঠাবে। গত ৩০ অক্টোবর তাদের দালালরা রাবারের বোর্ডে তুলে সাগর দিয়ে রওনা হয় ইতালির উদ্দ্যেশে। এদিনই লিবিয়ার কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়েন তারা। পরে তাদের লিবিয়া পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। পুলিশ তাদের জেলে পাঠায়। ফেরত আসা যুবকরা প্রত্যককেই ৫-৭ লাখ টাকা করে দালালদের দিয়েছে বলে জানান।

তারা জানান, জেলে তাদের অমানুষিক নির্যাতন করেছে কারারক্ষীরা। তারপর বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে আইওএ ‘র সহযোগিতায় ২৬ দিন জেল খাটার পরে যুবকরা দেশে ফেরত আসে। ফেরত আসা যুবকদের অভিভাবকরা জানান, আমাদের ছেলেদের ফেরত পেয়েছি এতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। অনেকেই ধারদেনা করে লাখ লাখ টাকা দালালদের দিয়ে স্বপ্নের দেশে যেতে চেয়েছিল। বিদেশ গিয়ে রোজগার করে সংসারের অভাব-অনটন দূর করে সংসারে সুখ ফিরে আনতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন চুরমার হয়ে গেছে।

আসাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস/জেআইএম