ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জুয়েলার্সে চোরাই স্বর্ণালঙ্কার

জেলা প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুর | প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারের প্রিয়াংকা জুয়েলার্স নামে একটি দোকান থেকে প্রায় চার ভরি চোরাই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালীর সুধারাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় তাসলিমা আক্তার রুমকি (৩৫) নামে এক নারীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রিয়াংকা জুয়েলার্সে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় চোরাইকৃত স্বর্ণালঙ্কারগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই দোকানির বিরুদ্ধে লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সুধারাম থানা পুলিশ জানায়, গত ১৯ নভেম্বর মাইজদি শহরের বাসিন্দা জাকির হোসেনের বাসা থেকে অভিনব কায়দায় প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রুমকিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় রুমকি চন্দ্রগঞ্জের প্রিয়াংকা জুয়েলার্সে প্রায় চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক ও বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ওই জুয়েলার্স থেকে স্বর্ণালঙ্কারগুলো উদ্ধার করা হয়।

লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও জুয়েলার্সের মালিক সঞ্জয় ঘোষ চোরাইকৃত দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক ও এক ভরি ১৫ আনা স্বর্ণ কিনেছেন। কিন্তু রুমকির জাতীয় পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেননি তিনি। পরে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়। এতে সঞ্জয়ের হাতে ওই নারীর তুলে দেয়া বিভিন্ন ধরনের গহনার চিত্র দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চন্দ্রগঞ্জ বাজার লক্ষ্মীপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা। এজন্য বিভিন্ন স্থানে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালঙ্কার সহজেই এখানে বেচাকেনা হয়।

জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ বাজার জুয়েলার্স কমিটির সভাপতি জয়দেব দেবনাথ বলেন, চন্দ্রগঞ্জ বাজারে প্রায় ৪৮টি জুয়েলার্সের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১৫টি দোকান বন্ধকি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে প্রিয়াংকা জুয়েলার্সের বন্ধকি লাইসেন্স নেই।

নোয়খালীর সুধারাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, আটক রুমকির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার জুয়েলার্সের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই দোকানের বন্ধকি লাইসেন্সের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি দোকানদার।

কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম