‘ইয়াবা কাণ্ডে’ ওসির বদলি
গত কয়েকদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীমের ‘ইয়াবা কাণ্ড’ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিল জেলা পুলিশ।
তবে সেই অস্বস্তির বহিঃপ্রকাশ না করে অনেকটা গোপনে ‘ইয়াবা কাণ্ড’ তদন্ত করেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরই প্রেক্ষিতে ওসি ফয়জুল আজীমকে বিজয়নগর থানা থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পুলিশ সদর দফতর থেকে তার বদলির আদেশ হলেও বুধবার (২৭ নভেম্বর) জেলা পুলিশের কাছে আসে আদেশের অনুলিপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ২২ নভেম্বর বিজয়নগর থানার বাবুর্চি জাহিদ ভূইয়া ওসি ফয়জুল আজীমের ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে শয়নকক্ষের বিছানার নিচে কয়েকশ ইয়াবা পান। এরপর জাহিদ সেই ইয়াবাগুলো নিজের কাছেই রেখে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে ওসির নির্দেশে ২৩ নভেম্বর জাহিদকে আটক করা হলেও গতকাল মঙ্গলবার মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মূলত ইয়াবাগুলো সরিয়ে নেয়ার কারণেই জাহিদের প্রতি ক্ষুব্ধ হন ওসি ফয়জুল আজীম। এ ঘটনার খবর পেয়ে ২৩ নভেম্বর রাতেই জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিজয়নগর থানায় যান ঘটনা তদন্তের জন্য।
এ ঘটনায় বিজয়নগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান খলিল উল্লাহ বাদী হয়ে বাবুর্চি জাহিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাহিদের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩১০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক কিনে এনে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়।
তবে নিজের শয়নকক্ষ থেকে ইয়াবা পাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয় দাবি করে ওসি ফয়জুল আজীম বলেন, জাহিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে আমার বদলির কোনো সম্পর্ক নেই। বদলি হয়েছে জনস্বার্থে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, আদেশে দেখেছি এটা স্বাভাবিক বদলি। বাবুর্চি জাহিদ কোনোভাবে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/এমএস