ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ক্ষমতা চিরদিন থাকে না, ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | রংপুর | প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দল ভারীর জন্য বসন্তের কোকিলদের টানবেন না। সময় মতো এসব বসন্তের কোকিলদের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আত্মীয়-স্বজন দিয়ে কমিটি গঠন না করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রতি পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষিত, স্বচ্ছ ইমেজের লোক দরকার। ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করুন। তাদের সুখে, দুঃখে পাশে থাকুন। বাংলাদেশ এবং গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।

অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজ যে সুসময় আছে এ সুসময় চিরদিন নাও থাকতে পারে। ক্ষমতা চিরদিন থাকে না। ক্ষমতার দাপট কেউই দেখাবেন না। বিনয়ী থাকবেন। সাধারণ জীবন যাপন করতে হবে। অনেক স্বপ্নও দেখতে হবে। স্বপ্ন দেখাতেও হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে দলের এ শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে। দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে। অনেক স্থানে দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের সেশনজট হয়ে গেছে। এখন স্বচ্ছ ও ক্লিনদের দলে স্থান দিতে হবে। যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে এখন অপেক্ষায় আছেন এমন স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।

নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল প্রমুখ।

জিতু কবীর/এমএএস/এমএস