ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পাটিতে বসে ক্লাস করে তারা

প্রকাশিত: ০৩:৩৭ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

খোলা আকাশের নিচে মাটিতে পাটি বিছিয়ে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। আবার যখন বৃষ্টি হয় তখন ক্লাস বন্ধ থাকে। এভাবে পাঠদান চলছে ২০১৩ সাল থেকে। এমনই নাজুক অবস্থা কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ১৯নং দক্ষিণ ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের কলাকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে নতুন ভবনের জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তাতে সাড়া মেলেনি।

জানা যায়, ১৯৭৭ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ওই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৩৯ জন। পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন চারজন। এর মধ্যে একজন প্রধান শিক্ষক ও তিনজন সহকারী শিক্ষক। শূন্য রয়েছে একজন সহকারী শিক্ষকের পদ। ২০১০ সাল থেকেই বিদ্যালয় ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেবে সরকারিভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেয়া শুরু করে। তবে কখনো বৃষ্টি হলে পাশের মসজিদ-মাদ্রাসায় ক্লাস নিতে হয়। ভবনের সমস্যার কারণে  অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত ক্লাসেও আসে না। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।

পরীক্ষার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করে। এতে ওই এলাকার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোসা. জয়নব বিবি জাগো নিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের ভবন সমস্যার কারণে খোলা আকাশের নীচে দুই শিফটে ক্লাস নিতে হয়। নতুন ভবনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও এ বিষয়ে এখনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইমন, রনি, তাছলিমা ও আবুল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, মাটিতে পাটি বিছিয়ে ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে ভালো লাগে না, এজন্য তারা সপ্তাহে মাত্র ২/১ দিন  ক্লাসে আসেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে এ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জাগো নিউজকে জানান, ওই প্রাচীন বিদ্যালয়ের ভবন এরই মধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে এর ছবিসহ সরকারের নিকট আবেদন পাঠনো হয়েছে, চলতি বছরের মধ্যেই সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যেতে পারে।

মো: কামাল উদ্দিন/এমজেড/এমএস