পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে সরকারের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা : ফখরুল
খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমেই মুক্ত করা হবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাাচ্ছি। খালেদা জিয়া কারাগারে রয়েছেন। তাকে মুক্ত করতে আমরা সব ধরনের আন্দোলনে মাঠে থাকব। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।’
রোববার সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এমন কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মওলানা ভাসানী কখনো ক্ষমতার রাজনীতি করেননি। আজ দেশে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সরকারের দুর্নীতি অদক্ষতা এবং তাদের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীদের কারণেই দেশে পেঁয়াজসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। ধানের দাম অত্যন্ত কম। এর মূলই হচ্ছে এই সরকার ব্যর্থ। তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের পক্ষে কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অনির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার নেই। বর্তমান সরকার বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয় বলে তারা দেশে স্বৈরশাসন চালাচ্ছে। কাউকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না। জোর করে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শামছুজ্জামান দুদু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মজলুম জননেতার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে মরহুমের মাজারে সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ, মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ভাসানী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও পৃথক পৃথকভাবে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া সকাল ৮টায় তবারক বিতরণ ও বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সব অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে দাফন করা হয়।
আরিফ উর রহমান টগর/এমএমজেড/জেআইএম