সিসিকের আহ্বানে সাড়া নেই : যত্রতত্র পশু কোরবানি
সিলেট নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে এসব স্থানে কোরবানি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলো সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের এই আহ্বানে তেমন সাড়া পড়েনি।
নগরের সবক’টি ওয়ার্ডেই যত্রতত্র পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ নগরবাসীই নির্দিষ্ট স্থানের বদলে নিজের বাসার আঙ্গিনায় কিংবা বাসার সামনে সড়কে পশু কোরবানি দেন।
তবে সিসিকের এই উদ্যোগ সফল না হওয়ার জন্য প্রচারণার অভাবকেই দায়ী করেছেন নগরবাসী। এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে মাত্র একটি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ায় সেসব স্থানে গিয়ে পশু কোরবানি দেয়া প্রায় অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়ার আহ্বানে সাড়া না দেওয়া প্রসঙ্গে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নকর্মী হানিফুর রহমান বলেন, এবার প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই খুব একটা সাড়া পাওয়া যায়নি।
এছাড়া প্রচার প্রচারণা কম হয়েছে। তাই অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাটে পশু কোরবানি দিয়েছেন। আগামীতে এ ব্যাপারে আরো প্রচারণা চালাতে হবে। তাছাড়া নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষার উদ্যোগী হতে হবে।
শুক্রবার ঈদের দিন নগর ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ওয়ার্ডের সিসিকের নির্ধারিত স্থানগুলো ফাঁকা, অথচ বাড়ির আঙ্গিনা ও রাস্তাঘাটে দেদারছে চলছে পশু জবাইয়ের কাজ।
অবশ্যই এ বছর সিসিক নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারন করার পর থেকেই এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ১০টি স্কুলের মাঠকে পশু কোরবানির স্থান হিসেবে ঘোষণা দেয় সিসিক। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সমালোচনাও করেন সচেতন নাগরিকরা।
এ ব্যাপারে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান লোদী কয়েস বলেন, তার ওয়ার্ডের যে এলাকা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি পর্যাপ্ত নয়। অনেকের বাসা-বাড়ি ওই এলাকা থেকে অনেক দূরে। গরু জবাই করার পর মাংস নিয়ে বাড়ি ফেরা খুবই কষ্টকর হবে। তাই অনেকেই নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেননি।
নগরের শিবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা আশরাফ হোসেন নিজের বাসার সামনে রাস্তায় পশু জবাই প্রসঙ্গে বলেন, প্রতি বছরই আমি এ স্থানে কোরবানি দেই। তাছাড়া এ বছর স্থান নির্ধারণের বিষয়টি আমার জানা নেই।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস