তিন ফুট পানির নিচে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
সম্প্রতি বৃষ্টিতে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বাড়ায় তিন ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে রাঙামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি। গত প্রায় দু’মাস ধরে সেতুটি পানিতে ডুবে রয়েছে। বৃষ্টিপাত একেবারে ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে রাঙামাটি পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, কিছুদিন বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় ঝুলন্ত সেতুটি কিছুটা উপরে ভেসে ওঠে। এর আগে দেড় ফুট পানিতে ডোবা ছিল। সম্প্রতি হঠাৎ বৃষ্টিতে আরো দেড় ফুট গভীরে তলিয়ে গেছে সেতুটি। বর্তমানে তিন ফুট পানির গভীরে ডুবে রয়েছে। বৃষ্টিপাত একেবারে ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে। কারণ বৃষ্টি হলে কাপ্তাই লেকে পানি বাড়ে। এতে সেতুটিও তলিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ঝুলন্ত সেতুটি পানিতে ডুবে থাকলেও ঈদ উপলক্ষে পর্যটকরা রাঙামাটি বেড়াতে আসছেন। এবারো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। পর্যটন মোটেলে অতিথিদের ভিড়ে কক্ষগুলো এখন ঠাসা। চলতি সপ্তাহজুড়ে বুকিং রয়েছে। ঝুলন্ত সেতুটি সবার কাছে দৃষ্টিনন্দিত। তবে বর্তমানে সেতুটি জলমগ্ন থাকলেও সুবলং ঝরণা, কাপ্তাই লেকে নৌ-ভ্রমণ, চাকমা রাজার বাড়ি, রাজবন বিহার, ডিসি বাংলো, টুকটুক ইকো ভিলেজসহ বিভিন্ন দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্পট ও স্থানগুলোতে আগত পর্যটকরা পাড়ি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সদ্য বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে পানি নামায় কাপ্তাই লেকের পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ে। এতে ঝুলন্ত সেতুটি তলিয়ে যায়। সেই থেকে প্রায় দু’মাস ধরে সেতুটি জলমগ্ন। এখন পর্যটন মৌসুম আসন্ন। পানি কমে গেলে ঝুলন্ত সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জানা গেছে, সত্তর দশকের শেষের দিকে সরকার রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। পরে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের পারাপারের সুবিধায় দুটি পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করে রাঙ্গামাটির আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুটি। এটি বর্তমানে দেশে-বিদেশে আকর্ষণীয় হয়ে ব্যাপক আকারে পরিচিতি পেয়েছে। ঝুলন্ত সেতুর পূর্বদিকে কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ জলরাশিসহ রয়েছে ছোটবড় বিস্তৃীর্ণ নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে রাঙামাটির দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতুটি উপভোগ করতে আসেন অসংখ্য পর্যটক। সেতুতে প্রবেশ মূল্য এখন বিশ টাকা।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/ এমএএস/পিআর