ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১২ ঘণ্টা না, ৮ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করবে বিসিসি

প্রকাশিত: ১০:৪৫ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঈদুল আযহার কোরবানি দেয়া পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষে বরিশাল নগরীতে কাজ করে যাচ্ছে ৬শ পরিচ্ছন্ন কর্মী।

১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পূর্ব ঘোষণা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা আগেই বরিশাল নগরী পুরোপুরি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ লক্ষ্যে শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিত কুমারের সরাসরি তদারকিতে এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দিপক লাল মৃধার নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ৬শ কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন।

পরিচ্ছন্নতা কাজে সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) পানিবাহী গাড়িসহ ২১টি ট্রাক, একশ বক্সভ্যান এবং দেড়শ ট্রলি ব্যবহার করা হচ্ছে ।

তারা নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের আনাচে-কানাচে থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলছেন।

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি কর্পোরেশন আগেভাগেই জনগণকে আড়াই হাজার প্লাস্টিক ব্যাগ সরবরাহ করেছিল বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিত কুমার।

১২ ঘণ্টার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৮ ঘণ্টার মধ্যেই নগরী থেকে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

এদিকে, ৫৮ বর্গ কিলোমিটার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য আগে থেকে ১০০টি স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হলেও তা কেউ মানেননি। এমনকি অনেকে স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়ার বিষয়টি জানতেন না বলেও জানিয়েছেন।

Barisal-Ciryনগরীর নবগ্রাম রোডের বাসিন্দা আব্দুর রব জানান, সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট করে দেয়া স্থানে পশু কোরবানি দেয়াটা সমস্যার। কেননা পশুটি নির্দিষ্টস্থানে নেয়া এবং কোরবানির পর আবার পশুটি সুবিধাজনক স্থানে নিতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সড়কের পাশে যেখানে ড্রেন আছে, এমন স্থানে পশু কোরবানির পর পানি এবং ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলায় নগর অপচ্ছিন্ন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে মনে করেন তিনি।

তবে ধীরে ধীরে মানুষ আরো সচেতন হবে এবং পরিবেশ রক্ষায় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দেবে বলে মনে করছেন নগরবাসী।

প্রথমবারের মতো পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করে দেয়ায় এবার পুরোপুরি কার্যকর না হলেও ভবিষ্যতে মানুষ এই নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে বলে জানান সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিত কুমার।

সাইফ আমীন/এমএএস/পিআর