ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুচক্রি মহলের কারণে বরিশালের কাঙ্খিত উন্নয়ন বঞ্চিত

প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

একটি কুচক্রি মহলের বাঁধার কারণে কাঙ্খিত উন্নয়ন করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বরিশালের সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) মেয়র আহসান হাবিব কামাল।

ওই মহল শুধুমাত্র বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে নগরীর উন্নয়ন ব্যহত করছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) হল রুমে সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এই অভিযোগ করেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র কামাল।

ঈদুল আযহার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কুচক্রি মহলের নাম-পরিচয় প্রকাশ করার কথা বলেন মেয়র। এসব অপতৎপরতা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সংযত হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, জার্মানির কেএফডব্লিউ ব্যাংক বরিশালের উন্নয়নে প্রায় ৩শ কোটি টাকার প্রকল্পে অর্থায়ান করছে। কিন্তু কুচক্রি মহল নামে-বেনামে ওই সংস্থাকে চিঠি দিয়ে এই প্রকল্পে অর্থায়ান বন্ধের অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

কামাল বলেন, জনগণের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি এবং তার পরিষদ নগরীর উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ বর্ষায় নগরীর বেশিরভাগ রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। এসব রাস্তা মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়েছে। বর্ষা শেষে রাস্তাঘাট শুকালেই সংস্কার কাজ শুরু হবে। ভাঙা রাস্তাঘাটে চলাচলে জনভোগান্তি হওয়ায় মেয়র নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

নগরীতে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার অহরহ দুর্ঘটনা ও নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল এবং এবং ফুটপাত দখল হওয়ার বিষয়ে মেয়র বলেন, কুকুর নিধনের উপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই কুকুর নিধন করা যাচ্ছে না। তবে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।

হাইকোর্ট থেকেও অটোরিক্সা বন্ধের নির্দেশ রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ঈদের এই সময়ে অটোরিক্সা বন্ধ করলে জনভোগান্তি বাড়বে, মানুষের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই ঈদের পর পর্যায়ক্রমে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বন্ধ করা হবে। ফুটপাত দখলকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে কর্পোরেশনের সড়ক পরিদর্শকরা প্রতিনিয়ত মাস্তানদের কাছ থেকে বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন মেয়র।

এদিকে, নগরীর ৩৩টি ঝূঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা হলেও দীর্ঘ দিনে সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া এবং সম্প্রতি বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রোমেলকে অপসারণের বিষয়ে কথা বলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিত কুমার।

তিনি বলেন, ঝূঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেগুলোকে লাল রং দিয়ে সেসব ভবনে কাউকে বসবাস না করার জন্য সতর্ক করতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে অপসারণের বিষয়টি প্রশাসনিক ব্যাপার উল্লেখ করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কারো কারণে যদি সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হিসেবে শৃঙ্খলা ভঙের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে বলে জানান তিনি।


এসময় অন্যানের মধ্যে ১নম্বর প্যানেল মেয়র কেএম শহীদুল্লা­াহ, ২নং প্যানেল মেম্বর মোশারেফ আলী খান বাদশা এবং ৩ নম্বর প্যানলে মেয়র তাছলিমা কালাম পলি এবং প্রধান প্রকৌশলী নুরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তা ও কাউন্সিল৬রবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাইফ আমীন/এমজেড/আরআইপি