৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি : ভুয়া সাংবাদিকসহ আটক ২
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মো. শাখাওয়াত ফকির নামের এক কৃষককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাকালে ভুয়া সাংবাদিকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়েদুল হক এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শনিবার বিকেলে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বকশিয়াবাড়ী গ্রামের মো. শাখাওয়াত ফকির ও তার মেয়ে অন্তরা বেগম মাদারীপুরের ভাড়া বাসা থেকে নিজবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ৮টার দিকে তারা বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া বাজার থেকে একটি অটোভ্যানে উঠে রামদিয়া বাজার ও রসুলপুর মোড়ের মাঝখানে পাকা রাস্তায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলে অজ্ঞাতনামা ৩ ব্যক্তি এসে ভ্যান থামিয়ে শাখাওয়াত ফকিরকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে কালুখালী উপজেলার সোনাপুর-বোয়ালিয়া মোড়ে যেতে বলে। আর টাকা নিয়ে না গেলে শাখাওয়াত ফকিরকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এমন অভিযোগ পেয়ে প্রেক্ষিতে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান নামে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে শাখাওয়াত ফকির ও অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পাংশা থানার পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় পাংশা-কুষ্টিয়া মহাসড়ের কলেজপাড়া এলাকার আম বাগান থেকে অপহৃত শাখাওয়াত ফকিরকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণে জড়িত পাংশা পৌরসভার মাগুরাডাঙ্গী গ্রামের তাহাজ্জত হোসেনের ছেলে ভুয়া সাংবাদিক অপু রায়হান (৩২) ও কোড়াপাড়া গ্রামের মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. সোহেলকে (৩২) আটক করা হয়। এছাড়া অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি ওয়ালটন মোটরসাইকেল (রাজবাড়ী-হ-১১-০২০৮) এবং ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় অন্তরা বেগম বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। আটককৃতদের রোববার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অপহৃত শাখাওয়াত ফকির জানান, প্রথমে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে মেয়েকে ভ্যানে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে সোনাপুর বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে মারপিট করাসহ আমার বিকাশের পিনকোড চায়। পরে আমার বাড়ির ফোনে কল দিয়ে টাকা দাবি করে।
পুলিশ জানিয়েছে ভুয়া সাংবাদিক অপু রায়হানের বিরুদ্ধে পাংশা ও গোয়ালন্দ থানায় প্রতারণা, মাদক ও চুরির ৩টি মামলা রয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এমএমজেড/এমএস