ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপেক্ষার অভিযোগ
বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিংয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উপক্ষো করে জেলা পরিষদের স্টল নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার এক ছাত্রলীগ নেতা বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ওঠা বরিশাল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জেলা পরিষদের মার্কেট নির্মাণকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী।
রূপাতলী হাউজিং এস্টেটের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৮০ সালে হাউজিং এলাকায় ৪৫ একর জমিতে ৪৭১টি প্লট বরাদ্দকালে হাউজিংয়ের বাসিন্দাদের জন্য ১২তলা মার্কেট নির্মাণের জন্য এক পাশে জমি বরাদ্দ রেখে প্লান করা হয়।
জমির মূল্যমান বেড়ে যাওয়ায় গত আগস্ট মাসে জেলা পরিষদ হঠাৎ করে ছয় শতাংশ জমির উপর ১৫টি স্টল নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়। নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে হাউজিংয়ের বাসিন্দারা লিখিত এবং মৌখিকভাবে জেলা পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেনি।
উপরন্তু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র নেতা ওই ঠিকাদার গায়ের জোরে ১২ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে ১৪০ ফুটের স্থলে ৩০০ ফুট জমিতে ৫৮টি স্টল নির্মাণ করছেন।
কোনো ভাবে কাজ বন্ধ করতে না পেরে হাউজিংয়ের বাসিন্দা আবুল কালাম উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন।
গত ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ ছয় মাসের জন্য মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে বিবাদী ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, খুলনার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী, বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশালের জেলা প্রশাসক ও ঠিকাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
এ খবর জানার পর ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক তড়িঘড়ি করে মার্কেটের একতলার ছাদ ঢালাই দিয়ে দোতলার কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন হাইজিংয়ের বাসিন্দারা।
রূপাতলী হাউজিং এস্টেটের প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, কাজ বন্ধ রাখতে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হলেও কোনো জবাব না দেয়ায় হাউজিংয়ের বাসিন্দা হাইকোর্টের রিট করলে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের অনুলিপি জেলা পরিষদের অফিস সহকারী রুমা বেগম গত ১০ সেপ্টেম্বর রিসিভ করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাজ বন্ধের কোন নির্দেশ তিনি পাননি। নির্দেশ পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, স্থগিতাদেশের কপি হাতে পেলে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর