ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

উত্তাল পদ্মা, ঝুঁকিতে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ

নিজস্ব প্রতিবেদক | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৮:৪৫ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০১৯

দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কার হয় না রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের। তার উপরে বালু উত্তোলন, অবৈধ দখলসহ দেখভালের অভাবে নাজুক পরিস্থিতি শহর রক্ষা বাঁধের।

এখন ভরা পদ্মায় বইছে প্রবল স্রোত। এতে চাপ বেড়েছে শহর রক্ষা বাঁধের পুরনো অংশে। এরই মধ্যে পদ্মার টি-গ্রোয়েনসহ কয়েক কয়েকটি পয়েন্ট পড়েছে ভাঙনের মুখে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে পদ্মার গর্জনে আতঙ্কিত পদ্মা পাড়ের লোকজন।

Padma

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড়কুঠি গেজ পাঠক এনামুল হক জানান, বুধবার সকাল ৬টায় রাজশাহীতে পদ্মায় প্রবাহ ছিলে ১৮ দশমিক ১৪ মিটার। এরপর সকাল ৯টায় ১৮ দশমিক ১৬ এবং দুপুর ১২টায় ১৮ দশমিক ১৭ মিটারে বইছিল পদ্মা।
বিকেলে প্রবাহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ১৮ মিটার উচ্চতায়। সন্ধ্যা ৬টাতেও পদ্মায় প্রবাহ ছিল একই উচ্চতায়।

৩ অক্টোবর পদ্মায় প্রবাহ বিপৎসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে যাবার পূর্বাভাস রয়েছে।

এ দিকে, পদ্মা বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় শহর রক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। বিশেষ করে নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা রয়েছে বেশি ঝুঁকির মুখে। সেখানে জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই পয়েন্টে দুই হাজার জিও ব্যাগ ফেলার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।

Padma

জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বাঁধের টি-গ্রোয়েনেও। সেখানে এরই মধ্যে ৫০০ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

ঝুঁকি মোবাবেলায় পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সহিদুল আলম।

তিনি বলেন, পদ্মায় চাপ বাড়ায় শহর রক্ষা বাঁধের পুরনো অংশের কয়েক জায়গায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তবে এ নিয়ে শঙ্কা তেমন নেই। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। ঝুঁকি বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Padma

এ দিকে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মা তীরবর্তী গোদাগাড়ী, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এলাকার লোকজন।

তবে বেশ কিছু এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন লোকজন। বন্ধ রয়েছে এসব এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসন।

ফেরদৌস/এমএএস/পিআর