ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটে এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সিলেটে চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগে কোতোয়ালী থানার তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার রাতে তাদের বরখাস্ত করা হয়। এরা হলেন কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও মনোরঞ্জন।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রহমত উল্লাহ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে জানান, গত ২৯ আগস্ট রাতে এসআই মাসুদ রানা দুই কনস্টেবলসহ নগরীর খারপাড়ায় ডা. একেএম নুরুল আম্বিয়ার বাসায় সন্দেহভাজন এক আসামিকে ধরতে যান।

ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর হয়রানি ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ এনে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি-উত্তর) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ডা. আম্বিয়া। লিখিত অভিযোগে তিনি নগদ ১০ হাজার টাকা ও তার স্বাক্ষরসহ একটি ব্যাংক চেক নেয়ার কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি আরো জানান, ডা. আম্বিয়ার এ অভিযোগ তদন্তের জন্য এসএমপির সহকারী কমিশনার (এসি-কোতোয়ালী) সাজ্জাদুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়ায় সাময়িকভাবে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে, তদন্তকারী সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার (এসি) সাজ্জাদুল আলমের বিরুদ্ধে মারধর ও বুকে অস্ত্র ধরে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন অভিযুক্তদের একজন কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস।

গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এসএমপি কমিশনার কামরুল আহসানের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের অনুলিপি পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও দেয়া হয়েছে। তবে কুদ্দুসের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রহমত উল্লাহ বলেন, কুদ্দুস কই অভিযোগ দিছে তা জানি না।

চার পৃষ্ঠার অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুস দাবি করেন, গত ২৯ আগস্ট রাতে এসআই মাসুদ রানার সঙ্গে তিনি ও আরো কিছু পুলিশ সদস্য একটি বাসায় ডা. একেএম নুরুল আম্বিয়া নামে এক সন্দেহভাজন আসামিকে ধরতে যান। ওই বাসায় গেলে ডা. আম্বিয়া তার ১৮ মাসের শিশু রয়েছে এবং এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক না করেই চলে আসেন।

ডা. আম্বিয়ার অভিযোগ তদন্তের জন্য এসএমপির সহকারী কমিশনার (এসি-কোতোয়ালী) সাজ্জাদুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তের জন্য সাজ্জাদুল কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুসকে তার কার্যালয়ে ডেকে এনে অভিযোগকারীদের সামনেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে `মিথ্যা বলিস কেনো?` বলে আব্দুল কুদ্দুসকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি অভিযোগকারী চিকিৎসক দম্পতির সামনেই ইউনিফর্ম পরিহিত কুদ্দুসকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গুলিভর্তি শর্টগান বুকে চেপে ধরে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/বিএ