ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

খুলনায় বাবা-মেয়ে খুনের ঘটনায় আটক ৩

প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের ৩নং গলির বাসিন্দা ইলিয়াছ চৌধুরী (৭৫) ও তার মেয়ে এক্সিম ব্যাংকের খুলনা শাখার ক্যাশ অফিসার পারভীন সুলতানাকে (২৫) খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।  

আটকরা হলেন, একই এলাকার বাসিন্দা নোয়াব আলী (৫০), তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৪৫) ও ছেলে মুক্তাদী (১৯)।

এদিকে, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার নোয়াব আলীকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি হলেন আসলাম মিস্ত্রি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী বাবুল জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঢাকাইয়া হাউজ এপি ভিলা নামের ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ইলিয়াছ চৌধুরী ও তার মেয়ে পারভীন সুলতানার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এছাড়া পুলিশ বাড়ির বাইরের দেয়ালের পাশ থেকে একটি ধারালো অস্ত্র জব্দ করেছে। রাতেই তাদের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ মাগরিব নগরীর বসুপাড়া কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিপ্লব চৌধুরী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বড় ভগ্নিপতি পান্নার সঙ্গে জমি নিয়ে প্রতিবেশী নোয়াব আলীর বিরোধ চলে আসছিল। তারই সূত্র ধরে হত্যা করা হয়েছে তার বাবা ও বোনকে।

পারভীনের মেঝ বোন রিজিয়া সুলতানা জানান, রোববার আমাদের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। এজন্য বাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই বাবা ও ছোট বোনটিকেও হারাতে হয়েছে। তারা সকলে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

লবণচরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহের সুরতহাল করার সময় গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যাকারীরা নিহতদের পরিচিত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ওসি আরো জানান, তাদের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে এজাহারে ইঙ্গিত রয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীনকে হত্যাকারীরা ধর্ষণ করতে পারে এমন কিছু আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি