কুয়াকাটা সৈকতে মাতালদের উৎপাত
সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের বেলাভূমি খ্যাত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় দিন দিন বেড়েই চলেছে মদ্যপের সংখ্যা। ফলে বেশিরভাগ সময় সমুদ্র সৈকতে নারী পর্যটকরা মদ্যপায়ীদের উৎপাতে বিব্রত হচ্ছেন। আর ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সারাদিন পর্যটকরা কুয়াকাটা সাগর সৈকত ও বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে বা সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত থাকেন। সন্ধ্যা নামতেই তারা সৈকতে আসেন। সেখানে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ভাসমান মাছের দোকানগুলো। রাতে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, ছোট-বড় সবাই আসেন। এ সময় কিছু লোক মাতাল অবস্থায়ও সেখানে যায়। এ সময় ফিসফ্রাই দিতে বিলম্ব হলে চিৎকার করে পুরো এলাকায় বিরক্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। এতে বিশেষ করে নারী ও শিশু পর্যটকদের বেশি অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সৈকতের পশ্চিম পাশে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে আসেন বিভিন্ন বয়সের অর্ধশত মানুষ। এ সময় ফ্রাই দিতে কিছুটা বিলম্ব হলে অকথ্য ভাষায় চেঁচামেচি করতে থাকেন বরগুনা থেকে আসা এক মদ্যপ। তখন আশপাশে থাকা নারী পর্যটকদের ভয় পেতে দেখা যায়।
বিভিন্ন প্রজাতির টাটকা সামুদ্রিক মাছ
সৈকতের ছাতা-বেঞ্চ ব্যবসায়ী জাহিদ বলেন, এখানে সব সময় এরকম কিছু মাতাল এসে উচ্চস্বরে অশ্লীল ভাষায় চেঁচামেচি করে। পাশে নারীসহ অন্য পর্যটক আছে কি না সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ করে না। আমরা ভয়ে কিছু বলি না। বললে মারতে আসে। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানালে তারা শাস্তি দেয়।
অ্যাডভোকেট সৈয়দ কিশোর নামে এক পর্যটক বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সৈকতে সবাই ঘুরছিলেন। সে সময় সৈকতের পশ্চিম পাশে ফিসফ্রাই দিতে বিলম্ব হলে মোটরসাইকেলে আসা এক মদ্যপ অশ্লীল ভাষায় চিৎকার করতে থাকে। এতে সেখানে উপস্থিত একাধিক নারী পর্যটক বিব্রত হন। যা খুবই দৃষ্টিকটু।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে সৈকতে মাতালদের উৎপাত বন্ধ না করলে দিন দিন এখানে পর্যটক কমে যাবে। এর প্রভাব পড়বে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে। আমরা চাই সৈকতে সুন্দর পরিবেশ। যাতে এখানে আরও দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটে এবং তারা ভালো পরিবেশে ঘুরতে পারেন।
অর্ডার দিলেই মিলছে ফিসফ্রাই
এ বিষয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আগে কখনো এ রকম অভিযোগ আসেনি। এখন যেহেতু আপনি বলেছেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সৈকতে পর্যটকদের কোনো কারণে সমান্যতম বিব্রত হতে হয় এরকম কোনো কিছু আমরা কখনই হতে দেব না। আমাদের পুলিশ বক্স ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। এ রকম কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুশিকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএমজেড/পিআর