স্বামী হারানোর শোকে গলায় ফাঁস দিলেন স্ত্রী
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী মারা যাওয়ার পরদিনই আত্মহত্যা করেছেন নিয়তি রানী দাস (২৮) নামে এক গৃহবধূ। সোমবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সত্যেন্দ্র দাসের (বেনু) ছেলে নিবলু দাস (৩০) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এর পরদিন অর্থাৎ আজ (সোমবার) সকালে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী নিয়তি রানী দাস।
পুলিশ জানিয়েছে, মাস দুয়েক আগে নিবুল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় নিয়তি রানী দাসের। রোববার উপজেলার সাচনা কাঠবাজার সংলগ্ন শামসুল আবেদীনের দোকানে থাই সিলিংয়ের কাজ করতে গিয়ে অসতর্কতার কারণে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নিবলু দাস। এই ঘটনায় পরিবারের শোক কাটতে না কাটতে আজ ঘরের সিলিংফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন স্ত্রী নিয়তী রানী দাস।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা স্বামীর শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকে ছায়া বিরাজ করছে।
রামপুর গ্রামের বাসিন্দা লিলু দাশ বলেন, দুই মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। খুব সুখের সংসার ছিল, স্বামী-স্ত্রী দুইজনকেই সব সময় হাসিখুশি দেখা যেত। কিন্তু একটি দুঘর্টনায় রোববার স্বামী মারা যাওয়ার পর আজ (সোমবার) স্ত্রী আত্মহত্যা করলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বামী রোববার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান নিবলু দাস। এরপর আজ সকালে সিলিংফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী নিয়তী রানীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর শোকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোসাইদ রাহাত/এমএমজেড/পিআর