হত্যার পর গৃহবধূর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
বরিশালের - যৌতুকের দাবিতে রিমা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে উপজেলার সাতলা শিবপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি আম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রিমা আক্তার আগৈলঝাড়া উপজেলার মৃত বাবুল মিয়ার মেয়ে ও সাতলা শিবপুর এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
চাচা গোলাম মাওলা অভিযোগ করেন, প্রায় ৮ বছর আগে মিজানুরের সঙ্গে রিমার বিয়ে হয়। সে সময় নগদ লক্ষাধিক টাকা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয়া হয়। এক বছর পর তাদের এক ছেলে হয়। এর কিছুদিন পর ব্যবসাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে যৌতুক দাবি করে স্বামী মিজানুর। টাকার জন্য রিমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েক দফায় মিজানুরকে নগদ ২ লাখ টাকা দেয়া হয়। এছাড়া গরু, ছাগলসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয়। এরপর বছরখানেক নির্যতন বন্ধ ছিল।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ১ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য আবার রিমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিজানুরকে সাবধান করেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দিনগত গভীর রাতে রিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
গোলাম মাওলা আরও অভিযোগ করেন, হত্যার পর ভোরে মরদেহ বাড়ির পাশের একটি আম গাছে ঝুলিয়ে রেখে সে প্রচার করতে থাকে রিমা আত্মহত্যা করেছে। মিজানুর ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে রিমাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এখন তারা হত্যার দায় থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে প্রচার করছে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, গৃহবধূ রিমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/এমএমজেড/জেআইএম