ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

শ্যালক চড়-থাপ্পড় দেয়ায় দুই মেয়েসহ শ্যালিকাকে হত্যা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্যালিকা ও দুই মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দুলাভাই আব্বাস মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুই মেয়েসহ শ্যালিকাকে গলা কেটে হত্যার পর বিকেলেই সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউজ এলাকা থেকে আব্বাস মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত গৃহবধূ নাজমিন বেগমের স্বামী সুমন মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুল হক জানান, আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে আব্বাস জানিয়েছেন- তাকে চড়থাপ্পড় দেয়ার ক্ষোভ থেকেই তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে একটি ধারালো চাকু নিয়ে আব্বাস ওই ফ্ল্যাটে যান। প্রথমে সুমনের স্ত্রী নাজমিন (২৮) ও তার দুই কন্যা সন্তান নুসরাত (৮) ও সায়মাকে (২) গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় চিৎকার চেঁচামেচি করলে তার নিজের মেয়ে প্রতিবন্ধী সুমাইয়াকেও (১৫) চাকু দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই মো. কামাল হোসেন জানান, ট্রিপল হত্যা মামলার আসামি আব্বাস দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

মামলায় সুমন উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীর বড় বোন ইয়াসমিনের সঙ্গে স্বামী আব্বাসের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। বিভিন্ন সময় এই কলহের কারণে তার স্ত্রী নাজমিনের বড় বোন ইয়াসমিনের পক্ষ নিয়ে কথা বলায় আব্বাসের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আব্বাস ও তার স্ত্রী ইয়াসমিনের ঝগড়া হলে বাদী সুমনের শ্যালক হাসান বড় বোনের স্বামী আব্বাসকে চড়-থাপ্পড়সহ মারধর করে এবং পরদিন সকালে হাসান তার বড় বোন ইয়াসমিন ও তার মেয়ে সুমাইয়াসহ সুমনের বাসায় বোন নাজমিনের কাছে চলে আসে।

১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল পৌনে ১০টায় সুমন কর্মস্থল সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক জোনাকি পেট্রল পাম্প থেকে মিজমিজি সিআই খোলার আনোয়ারের মালিকানাধীন ছয় তলা ভবনের ভাড়া বাসায় এসে স্ত্রী ও সন্তানদের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ এবং তার স্ত্রীর বড় বোনের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকে (১৫) রক্তাক্ত আহত অবস্থায় খাটের ওপর জীবিত দেখতে পান। পরে ঘটনাটি তার শ্যালক হাসানকে ফোন করে জানালে কর্মস্থল থেকে তার শ্যালক ও স্ত্রীর বড় বোন বাসায় আসে এবং হাসান জরুরি ভিত্তিতে সুমাইয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হোসেন চিশতী সিপলু/আরএআর/এমকেএইচ