কালিহাতীর ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন : দোষীদের প্রত্যাহার
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেছেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় অ্যাডিশনাল ডিআইজির নের্তৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। আজই (শনিবার) তাদের পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে তারা কারা সেই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি যেভাবেই ঘটুক, এখন সকলের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এই পরিস্থিতি কেন ঘটলো, আর এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা বের করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। সাধারণত বড় কোনো ঘটনা ঘটলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরণের কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, অ্যাডিশনাল এসপি, রেঞ্জ অফিস, টাঙ্গাইলের অ্যাডিশনাল এসপি, ডিএসপি ও টাঙ্গাইল জেলার অ্যাডিশনাল এসপিকে সদস্য করে তাৎক্ষণিক কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি যতটুকু শুনেছি পুলিশ সদস্যরা জনগণের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলো। পুলিশ সদস্যরা প্রথমে একটি দোকানে ঢুকেছিলো। তখন জনতা সেই দোকানে ঢুকে তাদের আক্রমণ করেছে। আত্মরক্ষার সবারই অধিকার রয়েছে।
এদিকে নারী ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ধর্ষণের কথা শুনিনি। শ্লীলতাহানির কথা শুনেছি। আর মামলার পরই পুলিশ প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতারও করেছে। আর বিচার বিভাগ বলতে একটি বিষয় আছে। পুলিশ কাউকে ফাঁসি দিতে পারে না। এলাকাবাসী দোষীদের ফাঁসির বিচার চেয়ে এখন যে আন্দোলন করেছে তা অযুক্তিক।
এসময় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লার রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী মিয়া, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো: মাহবুব হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকারসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে নিহত ৩ জনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশের উপর এলাকাবাসীর হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
এমএএস/পিআর