৩০ ট্রলারে জলদস্যুর হামলা : নিহত ১, গুলিবিদ্ধ ৩৫
বঙ্গপোসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় ভোলার দৌলতখানের প্রায় ৩০টি ট্রলারে জলদস্যুরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় জলদস্যুদের গুলিতে অন্তত ৩৫ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে জেলে মো. সিডু (৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
নিহতের বাড়ি দৌলতখানের ভবানিপুর ইউনিয়নে। তার মরদেহ শনিবার সকালে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া এফবি রাফিন নামে একটি ট্রলার ডাকাতদের ট্রলারের ধাক্কায় ডুবে গেছে। শুক্রবার রাতে ফিরে আসা জেলেদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ২ জনকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দৌলতখান থানার ওসি আবুল বাশার সিডু জেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী কুদ্দুস মিয়ার মাছ ধরার ট্রলার এফবি ফারিহা বৃহস্পতিবার ১৯ জন মাঝি মাল্লা ও জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। ট্রলারটি শুক্রবার বিকেলে বঙ্গপোসাগরের কালকিনি এলাকায় মাছ ধরা অবস্থায় জলদস্যুরা হামলা চালায়।
ওই ট্রলারের মাঝি মোসলেউদ্দিন মুঠোফোনে জানান, হঠাৎ করে ২/৩টি ট্রলারযোগে জলদস্যুরা তাদের ট্রলার ধাওয়া করে এলোপাথারি গুলি ছুঁড়ে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে মো. সিডু (৪২) ও মিজান (৩৫) গুলিবিদ্ধ। এদের মধ্যে সিডু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সিডুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৫ গুলি লাগে এবং মিজানের মাথায় একটি গুলি লাগে। কিন্তু জলদস্যুরা তাদের ধরতে পারেনি।
তিনি আরো জানান,ওই সময় একই স্থানে ভোলার ২৫ থেকে ৩০টি ট্রলারের জেলেরা মাছ ধরছিলো। জলদস্যুদের হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। এছাড়া ডাকাতরা ধাওয়া করে এফ বি রাফিন ট্রলারের উপর জলদস্যুদের ট্রলার উঠিয়ে দিয়ে জেলেদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় অন্য ট্রলারের সহায়তায় জেলেরা উদ্ধার হয়।
এ পর্যন্ত যে সব ট্রলার জলদস্যুদের হামলার শিকার হয়েছে তাদের মধ্যে এফবি মা-৩, এফবি মাসুদ হাসান, এফবি মা জননী, এফবি সাদিয়ার নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে সাদিয়া ট্রলারের সারেং রফিক মাঝিও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে মোসলেউদ্দিন মাঝি আরো জানান, নিহত ও গুলিবিদ্ধ জেলেদের নিয়ে তারা ভোলার দৌলতখানের উদ্দেশে ফিরছে।
এ ব্যাপারে দৌলতখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার গাগো নিউজকে জানান, তিনি বঙ্গপোসাগরে ট্রলারে ডাকাতির খবর শুনেছেন। ডাকাতদের কবল থেকে ফিরে আসা গুলিবিদ্ধ জেলে রফিক মাঝি ও আবদুল হাকিমকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
অমিতাভ অপু/এসএস