ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভিডিও ভাইরালের পর ভাসুরের বিরুদ্ধে স্কুলশিক্ষিকার ধর্ষণ মামলা

জেলা প্রতিনিধি | মুন্সীগঞ্জ | প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ভাসুরের সঙ্গে এক স্কুলশিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্থাপিত হলে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকে ওই শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে অনুপুস্থিত রয়েছেন।

শিক্ষিকার বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন- তাকে ১৫ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলছেন- ছুটি সংক্রান্ত বিষয়টি তিনি জানেন না।

শ্রীনগর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) হেলালউদ্দিন জানান, শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।

সম্প্রতি শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে তার প্রবাসী স্বামীর বড় ভাই জাকিরের অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরালের পর পরই তাদের নিয়ে সামাজিকভাবে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। স্থানীয়রা ওই শিক্ষিকা ও তার ভাসুরের বিচার দাবি করেন। ঘটনাটি নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা শুরু হলে ওই শিক্ষিকা তার ভাসুরের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ অন্যান্য শিক্ষকরা জানান, একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি নিয়ে তারা বিব্রত।

ওই শিক্ষিকার আরেক ভাসুর মো. রিপন জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা পারিবারিকভাবে সালিসে বসেছিলেন। পরিবারের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে তারা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান খান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। শিক্ষিকা যেহেতু সরকারি চাকরি করেন সেহেতু তার দফতরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

শ্রীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/আরএআর/এমএস

আরও পড়ুন