বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ ও শাশুড়ির মৃত্যু
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ ও শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ওই এলাকার গিরিন্দ্র দাসের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাস ও ছেলে রিংকু দাসের স্ত্রী সেবা রানী দাস। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
জানা যায়, ওই বাড়ির একটি ঘরে পল্লীবিদ্যুতের সংযোগের তার ছিঁড়ে গ্রিলে পড়লে সন্ধ্যা রানী দাস হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিৎকার দেন। শাশুড়ির চিৎকার শুনে সেবা রানী দাস তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যায় পৌঁছার পর ওসমানী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেঘারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নিহতের ভাতিজা বকুল দাস জানান, আমার কাকি (চাচি) ও তার ছেলের বউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হলে আমরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। রিংকু দাসের স্ত্রী সেবা রানী দাস অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানা গেছে।
জগন্নাথপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মোসাইদ রাহাত/এমএএস/পিআর