ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ৯ জন
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় একরাতে তিন বাড়িতে ডাকাতের হানা ও ডাকাতের হাতে মানসিক প্রতিবন্ধী খুনের মামলার রহস্য উদঘাটনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদি গ্রামের ইসমাইলের ছেলে সোহরাব (২০), খোকনের ছেলে জুয়েল (২৩), কাদের মেম্বারের ছেলে সুজন (২২), বিল্লালের ছেলে ইয়ামিন (১৮) ও জাকিরের ছেলে ইয়ামিন (২২)।
শনিবার বিকেলে পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন এ হত্যাকাণ্ড ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদুর রজমান নাহিদের আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওসি বলেন, তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এ ঘটনায় নয়জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেন। এদের মধ্য সেকান্দরদি গ্রামের আনিসুরের ছেলে শাকিল (২৫), ফজলেলু রহমানের ছেলে নাঈম (২২), মাইন উদ্দিনের ছেলে মিঠু (২৫) ও শিবপুর উপজেলার মোল্লা মার্কেট এলাকার ফিরোজের ছেলে নাহিদ (১৮) পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের সেকান্দরদি গ্রামের বেলায়েত হোসেনের প্রতিবন্ধী ছেলে রেজাউল করিম বিজয়কে (২২) নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করে ডাকাত দলের সদস্যরা।
ডাকাতের হাত থেকে বিজয়কে বাঁচাতে গেলে বাবা বেলায়েত হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। এ ঘটনার ২০ মিনিট আগে একই গ্রামের ওয়াব মিয়ার ছেলে অটোচালক ফারুক (৩০) ঘর থেকে বের হতে চাইলে তার বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। তাকেও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
পরে পাশের বাড়ির কাদির মিয়ার স্ত্রী তাছলিমার কান ছিঁড়ে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এ ঘটনার পরদিন পলাশ থানায় একটি হত্যা ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা হয়। পরে ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ।
সঞ্জিত সাহা/এএম/এমকেএইচ