বিদ্যালয়ের কক্ষে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করল দপ্তরি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বিদ্যালয়ের দপ্তরি মনির হোসেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে দপ্তরি মনির।
গত বুধবার সকালে সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর মা। বিষয়টি জেনে দপ্তরি মনির হোসেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিদ্যালয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী-শিক্ষক উপস্থিত হয়নি। এ সুযোগে বিদ্যালয়ের দপ্তরি একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেন ওই ছাত্রীকে কৌশলে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে অসুস্থ অবস্থায় স্কুলছাত্রী বিদ্যালয় থেকে বাড়ি চলে যায়। শনিবার সকালে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে বিষয়টি চাচিকে জানায় স্কুলছাত্রী। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন স্কুলছাত্রীর মা।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর ভাষ্য, বুধবার সকালে আমি বিদ্যালয়ে যাই। ওই সময়ে বিদ্যালয়ে আসেনি আমার সহপাঠীরা। তখন আমাকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে দপ্তরি মনির হোসেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয় দপ্তরি মনির। সেদিন অসুস্থ অবস্থায় বাসায় চলে আসি। শনিবার আরও অসুস্থ হলে বিষয়টি চাচিকে জানাই।
সোনাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বেগম বলেন, ঘটনাটি ওই ছাত্রীর অভিভাবক আমাকে জানিয়েছেন। দপ্তরি মনির হোসেন ঘটনার পর পালিয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে আমি জানিয়েছি। দপ্তরি মনির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত দপ্তরি মনির হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মো. শাহাদাত হোসেন/এএম/এমএস