ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গুলি করে বাংলাদেশির লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ, বাড়িতে কুলখানি

জেলা প্রতিনিধি | নীলফামারী | প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক বাবলু মিয়ার (২৪) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি। তিনদিনেও বাবলুর মরদেহ বিএসএফ হস্তান্তর না করায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে তার পরিবার।

মঙ্গলবার ভোরে ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জ সংলগ্ন তিস্তা নদীর উজানে চরে বাবলুকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ। নিহত বাবলু মিয়া ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।

পাশাপাশি ওই দিন আহত অবস্থায় আটক করে নিয়ে যাওয়া কিশোর একই উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামের গোলজার রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (১৫) ফেরত দেয়নি বিএসএফ। তাকে ফেরত পাওয়ার আশায় অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।

নিহত বাবলু মিয়ার বাবা নূর মোহাম্মদ বলেন, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে বার বার গিয়ে বাবলুর মরদেহ দেশে আনার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়িতে মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে বাবলুর কুলখানির আয়োজন করা হয়। আমার ছেলের মরদেহটা দেশে আনার অনুরোধ করছি। কেউ আমার ছেলের মরদেহটা দেশে এনে দেন।

নিহত বাবলু মিয়ার স্ত্রী রাজিফা আক্তার বলেন, স্বামীর মরদেহ দেশের মাটিতে দাফন করতে চাই। ভারত থেকে স্বামীর মরদেহ দেশে আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমি।

এদিকে, বিএসএফের হাতে আহত অবস্থায় আটক কিশোর সাইফুলকেও ফেরত চান তার বাবা। ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেশে ফেরত আনতে পুলিশ-বিজিবির কাছে বার বার গিয়েও কোনো কূল-কিনারা করতে পারেননি বাবা গোলজার রহমান।

এলাকাবাসী জানান, বাবলু মিয়া ও সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার ভোরে নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমানার ভারত সীমান্তের ৭৭২ প্রধান পিলারের কাছে ঘাস কাটতে যায়।

তাদের সঙ্গে গরু দেখতে পেয়ে ওপারের উড়াল বিএসএফের ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে বাবলু মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত ও সাইফুল ইসলাম আহত হয়। নিহত বাবলুর মরদেহ ও আহত সাইফুলকে ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ।

খবর পেয়ে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশ নিহত ও আহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান।

পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, বাবলু মিয়ার মরদেহ ফেরত আনার জন্য তার পরিবার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আহত সাইফুল ও নিহত বাবলুর মরদেহ কবে ফেরত দেবে বিএসএফ তা জানায়নি বিজিবি।

জাহেদুল ইসলাম/এএম/এমকেএইচ

আরও পড়ুন