নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা : তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অব্যাহত
ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলমের জেরা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে তাকে সপ্তম দিনের মতো জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবারও তাকে জেরা করা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ বলেন, বুধবার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলমকে টানা জেরা করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হয়ে মাঝে আধঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে। বৃহস্পতিবারও তার জেরা অব্যাহত থাকবে।
আদালত সূত্র জানায়, বুধবার মামলার আসামি সাইফুর রহমান ওরফে জোবায়ের ও কামরুন নাহার মনির পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন ঢাকা থেকে আগত আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ। তাকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় আইনজীবীরা।
এর আগে গত কয়েকদিনে আসামি সিরাজ উদ দৌলা, নুরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, জাবেদ হোসেন, উম্মে সুলতানা পপি, মহিউদ্দিন শাকিল, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার উদ্দিন রানা, মো শরীফ, হাফেজ আব্দুল কাদের ও মকসুদ আলমের পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করা হয়। বৃহস্পতিবার মামলার আসামি রুহুল আমিন ও আবসার উদ্দিনের পক্ষে তাকে জেরা করার কথা রয়েছে।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের, জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রাশদেুল হাসান/এমবিআর/এমএস