/- দেশজুড়ে
প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রতীকী ছবি
টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ায় প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক বাচ্চু মিয়া (৫০) পলাতক রয়েছে। গত রোববার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল ফকিরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া হাউজিং মাঠের ভাড়া দেয়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসার নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় একটি চক্র। কিন্তু অভিযুক্ত ধর্ষক বাচ্চু মিয়া পলাতক থাকায় ব্যর্থ হয় সেই প্রচেষ্টা। অবশেষে মঙ্গলবার ধর্ষিতার দাদা বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল ফকিরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়া হাউজিং মাঠের বাসায় ভাড়া থাকত মৃত তারাব আলীর ছেলে মো. বাচ্চু। একই বাড়িতে অপর এক ঘরের ভাড়াটিয়া দাদা-দাদির সঙ্গে থাকত প্রথম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী। সিএনজি অটোরিকশা চালানোর কারণে তার বাবা-মা ঢাকায় থাকেন।
ব্যক্তিগত প্রয়োজনে গত রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাইরে যান শিশুটির দাদা-দাদি। তখন তাকে বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাচ্চু মিয়া। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাচ্চু পালিয়ে যায়।
বিষয়টি প্রথমে পারিবারিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও পরবর্তীতে তা ব্যর্থ হয়। পরে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টায় চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পৌর কাউন্সিলর হেলাল ফকির জানান, ঘটনার পরের রাতে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও তার চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ থানায় মামলা দায়েরে সহায়তা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক বাচ্চু মিয়া পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমির হামজা জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান তিনি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিতে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক মো. বাচ্চু মিয়া পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এমএমজেড/জেআইএম
