ডেঙ্গুর কারণ অনুসন্ধানে মেহেরপুরে আইইডিসিআর টিম
ডেঙ্গু রোগের বিস্তারের কারণ ও প্রতিরোধে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ১৩ সদস্যের একটি দল এখন মেহেরপুরে অবস্থান করছেন। তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন, লার্ভা সংগ্রহ, এডিস মশার মধ্যে জীবাণু আছে কি-না তা পরীক্ষা করবেন। আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনদের রক্তও সংগ্রহ করছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত শারমিন পপির নেতৃত্বে দলের বাকি সদস্যরা হলেন- এপিডেমিওলজিস্ট ডা. মোর্শেদা খানম ও ডা. দিপঙ্কর দাস, এফইটিপি’বি ফেলো ডা. জাফরান জাহেদ, অ্যানথ্রোপলজিস্ট শাহানাজ শানুসহ ৪ জন টেকনোলজিস্ট, একজন নমুনা সংগ্রহকারী এবং ৩ জন এন্টামলজিকাল উপাত্ত সংগ্রহকারী।
তারা ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকাগুলো পরিদর্শনসহ কোথায় কোথায় লার্ভা রয়েছে তাও চিহ্নিত করবেন। সেই সঙ্গে নমুনা ও রক্ত সংগ্রহ করে নিয়ে যাবেন ঢাকায়। পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে মেহেরপুরে স্থানীয়ভাবে মানুষ কেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এডিস মশার মধ্যে জীবাণু আছে কি-না সেটিও জানা যাবে।
দলনেতা ডা. নুসরাত শারমিন বলেন, আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনদের রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নেয়া হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ডেঙ্গু বিস্তারের কারণ নির্ণয় করা হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বলা যাবে স্থানীয়রা কেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২০২ জন। এর মধ্যে শুধুমাত্র গাংনী উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন ১৩৪ জন। তাদের মধ্যে শতাধিক রোগী স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হন।
এদিকে এডিস মশা নিধনে শহরের বিভিন্ন স্থানে মশা মারার ওষুধ স্প্রে করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুল। এ সময় তিনি বলেন, মশা নিধনে জেলার তিন উপজেলায় তিনটি ফগার মিশন দেয়া হবে।
আসিফ ইকবাল/এমএমজেড/পিআর