দোকানেই পুড়ে মরলেন মালিক-কর্মচারী
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচটি দোকান পুড়ে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ছোট জামছড়ির লাল মোহাম্মদের ছেলে বাজারের মুদি দোকানদার ফিরোজ আহমদ (৫৫) ও তার দোকানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন (১৫)। আনোয়ার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমনিয়া গ্রামের নুর কাদেরের ছেলে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, নিহত ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান থেকে আকস্মিক আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুনের শিখা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রামু এবং কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে বাজারের পাঁচটি দোকান পুড়ে যায়। ফিরোজ আহমদের দোকানের সামনে রাখা মোটরসাইকেলটিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তারা আরও জানান, দোকান মালিক ফিরোজ আহমদ ও দোকানের এক কর্মচারী দোকানের ভেতরে ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের পর দমকল বাহিনীর কর্মীরা দোকানের ভেতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। অগ্নিকাণ্ডে ফিরোজ আহমদের মুদির দোকান, দিল মোহাম্মদের ওয়ার্কশপ, আবদুল করিমের চাউলের দোকান, মনির আহমদের চাউলের দোকান ও অধির কর্মকারের কামারের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধির কর্মকারের দোকান ছাড়া অবশিষ্ট চারটি দোকানই বাজারের বৃহৎ পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। এসব দোকানের মালামালও ছিল প্রচুর।
খবর পেয়ে, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা, রামু থানার ওসি আবুল খায়ের, ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল মো. নোমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
ভোররাত ৪টার দিকে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমকেএইচ