ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিজারের পর প্রসূতির মৃত্যু, ২ লাখ টাকায় দফারফা

জেলা প্রতিনিধি | নরসিংদী | প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নরসিংদীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর সংকটাপন্ন অবস্থায় সঠিক চিকিৎসাসেবা দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় প্রসূতির। তবে মায়ের মৃত্যু হলেও সুস্থ নবজাতক। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের বাসাইল মুক্তি জেনারেল হাসপাতালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া নাদিয়া আক্তার (২৩) ঘোড়াদিয়া সোনাতরা গ্রামের মাহাবুবুর রহমান আপেলের স্ত্রী। প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভিড় জমান রোগীর স্বজনরা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই সঙ্গে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা দুই লাখ টাকার বিনিময়ে দফারফা করা হয়।

মৃত প্রসূতির স্বামী আপেল বলেন, প্রসব ব্যথা অনুভব করলে রোববার বিকেলে নাদিয়াকে বাসাইল মুক্তি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাদিয়ার সিজারিয়ান অপারেশন করেন চিকিৎসক ফরিদ উদ্দিন। তখন এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নাদিয়া।

wrong-treament

আপেল আরও বলেন, অপারেশনের পর নাদিয়াকে বেডে স্থানান্তর করা হয়। সকালে তাকে চা ও রুটি খেতে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রুটি ও চা খাওয়ার পরপরই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের লোকজন রোগীকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালান। অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে রোগীকে ঢাকায় পাঠানোর কথা বলা হয়। পথিমধ্যে সাড়া-শব্দ না পেয়ে নাদিয়াকে অপর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর নাদিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ভিড় জমান রোগীর স্বজনরা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সহিংসতার আশঙ্কার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও রোগী মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে বৈঠকে বসা হয়। সেখানে রোগীর স্বজনদের দুই লাখ টাকা দেয়ার চুক্তি হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সিজারিয়ান অপারেশন করা হলেও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। এ অবস্থায় রোগীকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার মতো কোনো চিকিৎসক হাসপাতালে ছিল না। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রোগীর মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে বাসাইল মুক্তি জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক আনোয়ার ভূইয়া বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল না। রাতে রোগী ভালো ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়। পরে আমরা দ্রুত রোগীকে ঢাকায় পাঠাই।

নিহতের স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, রোগী মারা গেছে, তাই অনেক কিছুই বলেছেন স্বজনরা। রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।

সঞ্জিত সাহা/এএম/জেআইএম

আরও পড়ুন