ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে
যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রার্থী। ছাত্রদলের কাউন্সিলে বৈধ সভাপতি প্রার্থী হিসেবে যে ১৫ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে নাম রয়েছে শ্রাবণের। এ নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে।
শ্রাবণের পরিবারের দাবি, শ্রাবণ ছাড়া তাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এজন্য ১৫ বছর ধরে সে বাড়ি আসে না।
স্থানীয় ও ছাত্রদল সূত্র জানিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি পদে ২৭ জন মনোনয়ন জমা দিলেও ১৫ জন বৈধ প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯ জন মনোনয়ন জমা দিলেও বৈধ প্রার্থী হয়েছেন ৩০ জন।
মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর সভাপতি প্রার্থী ১৫ জনের মধ্যে রয়েছেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হওয়া কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী রফিকুল ইসলামের ছেলে।
শ্রাবণের বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মেজ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। সেজ ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রাবণ ছাত্রদলের নেতা হওয়ায় সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। আমরা পাঁচ ভাই ও এক বোন। সবার ছোট শ্রাবণ। মেধাবী ছাত্র। ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত।
মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, রাজনীতির কারণে ১৫ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে শ্রাবণের কোনো সম্পর্ক নেই। সংসদ নির্বাচনে এলাকায় এসেছিল ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করতে। কিন্তু বাড়ি আসেনি।
এদিকে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কাজি রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। তিনি আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন। তার সঙ্গে ছেলে রওনকুল ইসলাম শ্রাবণও ছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা সরাসরি শ্রাবণের নেতৃত্বে তার বাবার পক্ষে ভোট করেছেন। মুখোশের আড়ালে নিজেকে বেশিক্ষণ লুকানো যায় না।’
মিলন রহমান/এমবিআর/জেআইএম