একই গ্রামে ৪২ ডেঙ্গু রোগী, কারণ খুঁজছে তদন্ত কমিটি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ছাতারপাড়া গ্রামের একই পাড়ায় ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ায় তার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম।
ডা. অনুপম সরকারের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকেই তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ডেঙ্গুকবলিত দৌলতপুরের ছাতারপাড়ায় নমুনা সংগ্রহে কাজ শুরু করেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে তারা ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় পৌঁছান। আজ (শনিবার) ও আগামীকাল তারা কুষ্টিয়ায় অবস্থান করবেন।
দলের প্রধান ডা. অনুপম সরকার বলেন, টিমের সদস্যরা সকাল থেকে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে নমুনা সংগ্রহে কাজ করছেন। তাছাড়া ছাতারপাড়া গ্রামে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তে কাজ চলছে। আসলে এখনই কিছু বলা যাবে না। নমুনা সংগ্রহের পর তা ঢাকায় নিয়ে গবেষণার পর ডেঙ্গু বিস্তারের আসল কারণ জানা যাবে। এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, ঈদের পর থেকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ছাতারপাড়া গ্রামে আশঙ্কাজনক হারে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এক গ্রামে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ নজরদারি করার পরও ঠেকানো যাচ্ছে না এডিস মশা। শুক্রবারও সেখানে দু’জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ডেঙ্গুকবলিত ছাতারপাড়া গ্রামের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বৃহস্পতি ও শুক্রবার নতুন করে উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে ৭ জন, কমালপুর গ্রামে ২ জন, খলিষাকুন্ডি গ্রামে ৬ জন ও মহিষকুন্ডি গ্রামে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন। এ নিয়ে দৌলতপুরে মোট ৫৯ জন ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় মোট ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৪৪ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৭। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১১ জন।
আল-মামুন সাগর/এমএমজেড/এমএস