৭শ টাকার জন্য একটা মানুষ খুন
নারায়ণগঞ্জ শহরে পাওনা টাকা না দেয়ায় আরিফ নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই এক সহকর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহরের টানবাজার এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ওয়াকওয়েতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ মিরাজ নামে আরিফের এক সহকর্মীকে আটক করেছে।
নিহত আরিফ শহরের নিতাইগঞ্জ ঋষিপাড়া এলাকায় ভাড়াটে বাসিন্দা মাটি কাটার শ্রমিক আব্দুল মতিনের ছেলে। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আরিফ চতুর্থ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সহকর্মী সোহরাবের কাছ থেকে কিছুদিন আগে মাত্র ৭০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন আরিফ। সেই টাকা ফেরত না দেয়ায় আরিফকে খুনের পরিকল্পনা করেন সোহরাব। পরিকল্পনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজনকে সাথে নিয়ে আরিফকে ওয়াকওয়েতে ডেকে নিয়ে যান সোহরাব। এক পর্যায়ে আরিফের ওপর হামলা চালান সোহরাব ও তার সহযোগীরা। আরিফের বুকেসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তারা। আরিফের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহরের খানপুরে ৩শ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন মিরাজ নামে আরিফের এক সহকর্মী যুবককে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যায় জড়িত অভিযোগে মিরাজকে আটক করে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরিফের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন সেতু বলেন, আরিফের কাছ থেকে কেউ টাকা পেতেন সেটা আমরা কেউ জানতাম না। স্বজনরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়েছে। আটক মিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সাথে অভিযুক্ত সোহরাবসহ অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে দুইজনের নাম উল্লেখ করে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মো: শাহাদাত হোসেন/এনএফ/পিআর